দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় বৌদ্ধ বিহার থেকে তিনজন রাখাইন হিন্দু অনাথ বাচ্চা দের সনাতনীদের আশ্রয় প্রত্যাবর্তন।
দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় বৌদ্ধ বিহার থেকে তিনজন রাখাইন হিন্দু অনাথ বাচ্চা দের সনাতনীদের আশ্রয় প্রত্যাবর্তন।
প্রসঙ্গত,একজন ঊর্ধ্বতম কর্মকর্তার সহযোগিতায় ও বৌদ্ধ বিহারের ভান্তের সহযোগিতায় একটি বাচ্চার জন্ম থেকে পিতৃহারা ও বাকি দুই অনাথ বাচ্চাদেরকে সনাতনীদের আশ্রয় প্রত্যাবর্তন। এই মিশনটা মোটেও সহজ ছিল না।একটানা তিন দিন ফোন এবং নেটওয়ার্কের বাইরে ছিলাম।দুই রাত একদিন একটানা না খাওয়া ছিলাম, শুধু কলা মুড়ি ও ফল খেয়েছিলাম। বর্তমানে এমন পরিস্থিতি, ফেসবুকে আর সবকিছু তুলে ধরা যায় না। এটা প্রচার করার একটাই উদ্দেশ্য, আমাদের সনাতনী সমাজের ঊর্ধ্বতর্ম ব্যক্তিরা ও বিত্তবানরা সর্বদাই নিজেদের নিয়ে ভাবে এবং স্বজাতি নিয়ে এদের কোন ভাবনা নেই। আমাদের সাধু সন্ন্যাসীরা আছে নতুন নতুন মন্দির তৈরি করা নিয়ে ব্যস্ত,হিন্দু সংগঠনের নেতারা আছে কিভাবে নিজের সংগঠনে প্রচার প্রচারণা করা যায় এবং নিজেকে সংগঠনের নামে প্রতিষ্ঠা করা যায় । কিন্তু এরা ভাবে না যদি এই জাতি না থাকে তাহলে মন্দির ও সংগঠন দিয়ে কি হবে। সংগঠন তো তাকে বলে যেটাকে সকলকে সংগঠিত করে.?? কিন্তু তার বিরুপ দেখছি আমাদের হিন্দু সংগঠন আমাদেরকে ডিভাইড করে। আমার মতে কিছু হিন্দু সংগঠন হিন্দুদেরকে নিয়ে যারা কাজ করে হিন্দুদেরকে নিয়ে যারা ভাবে তারা আছে কিভাবে নিজেদের আখের গোছাবে। কিভাবে হিন্দু সংগঠনকে নিজের নামে প্রতিষ্ঠা করা যায়। কিভাবে হিন্দু সংগঠনকে ব্যবসায় পরিণত করা যায়.??এই সিরিয়ালে আপনারা আমাকেও ধরতে পারেন.??? কারণ ডাস্টবিনে বসবাস করতে করতে আমি নিজেই ময়লা হয়ে গিয়েছি।
আমি সর্বদাই বৌদ্ধ ধর্মকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করি, তার বাস্তব প্রমাণ আমি নিজেই পেলাম বৌদ্ধ বিহার ভান্তের কাছ থেকে। বৌদ্ধ বিহার টার নাম গোপন রাখলাম তবে ভান্তের কাছে আমি অনেক ঋণী হয়ে গেলাম। যেখানে আমাদের মট মন্দিরে এবং বিত্তবানরা মুখ ফিরিয়ে নেয় সেখানে বৌদ্ধ বিহার বলেন,গির্জা বলেন, ও ভিন্ন ধর্মাবলম্বী বলেন সেখানে আমাদের অসহায় ও অনাথ সনাতনীদের কে আশ্রয় দেয়। অসহায় সনাতনী অনাথ সনাতনী বাচ্চারা যদি যেকোনো ধর্মের আশ্রয় থাকে এবং পরবর্তীতে থেকে ধর্ম পরিবর্তন করে তার দায় ওই অনাথ বাচ্চা বা অসহায় সনাতনী কখনো নয়। তার দায় বা তার অপরাধ এই সনাতনী সমাজেরই নিতে হবে। আমরা হাজারো হাজারো কোটি টাকা খরচা করে মন্দির করি। কিন্তু সেই মন্দিরে কি অসহায় সনাতনীদের আশ্রয় স্থান হয়.???আপনারা দেখবেন বাংলাদেশের প্রত্যেকটা জেলা শহরে মসজিদ বলেন গির্জা বলেন বৌদ্ধবিহার বলেন প্রত্যেকটা সাথে একটি করে মসজিদের সাথে এতিমখানা আছে বৌদ্ধ বিহারের সাথে অনাথ আশ্রম আছে এবং গির্জায় শিশুদের রাখার জন্য স্থান আছে। আমরাও কি পারি না প্রত্যেকটা মন্দিরের সাথে আশ্রম রাখা, যেখানে বৃদ্ধাশ্রম হতে পারে অনাথ আশ্রম হতে পারে.??? এই আর্যাবর্তে এখন সময় এসেছে সনাতনীদের চিন্তা ধারণা পরিবর্তন করার.?? দাসত্ব থেকে বেরিয়ে আসা গুরু প্রথা থেকে বেরিয়ে আসা এক ঈশ্বরে বিশ্বাসী হওয়া।এর জন্য এখনই জাগ্রত হতে হবে এখনই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এই সনাতনী যুব সমাজকে। আমরা কখনো কোন হিন্দু সংগঠনের দাদা বা ভাইয়ের সংগঠন হয়ে কাজ করবো না আমরা জাতি স্বার্থের সকল সংগঠন ঐক্যবধ্য হয়ে কাজ করব সংগঠন থেকে সংঘটিত হয়ে কাজ করব। তাহলেই আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত এবং আর্যাবর্তে আবারো সনাতনী ধ্বজা উড়বে। আমার এই মিশনে যারা সাহস ও শক্তি দিয়ে সহযোগিতা করেছে। তাদের ভিতর অন্যতম হলো একজন প্রশাসনের ঊর্ধতম কর্মকর্তা একই সাথে হাইকোর্টের একজন আইনজীবী ও নৌ পুলিশ একজন কর্মকর্তা এই অর্জন আপনাদের। জানি না ঈশ্বর আমাকে দিয়ে কি করাতে চায় তবে আমার আ মৃত্যু পর্যন্ত আমি সনাতনই স্বার্থে জাতি স্বার্থে আপনাদের সেবক হয়ে কাটাতে চাই।
পাঁচ দিন যাবত আপনাদের অনেকের ফোন রিসিভ করতে পারিনি। চারদিন ঢাকা থেকে ৪২৩ কিলো দূরে ছিলাম। ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন তিনদিনই আমার ফোনটা বন্ধ ছিল । বিভিন্ন দিকের এবং অনেক হয়রানি শিকার হচ্ছি আমি এবং চাপে আছি তাই হয়তোবা ফোন কাছে রাখি নাই। আপনাদের কাছে এই লেখার ভিতরে কিছু প্রশ্ন রেখে গেলাম উত্তরগুলো কমেন্ট বক্সে দিবেন প্রত্যেকটা কমেন্ট আমি দেখে সামনে আরো অগ্রসর হব।
Comments
Post a Comment